এবারের জন্মদিন (২০ নভেম্বর) উপলক্ষে শাকিব খানের কাছ থেকে একটি ডায়মন্ডের ‘নাকফুল’ উপহার পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন নায়িকা বুবলী।
বুবলীর হীরার নাকফুল উপহার পাওয়ার খবর ফেসবুকে পোস্ট দেন অপু বিশ্বাস। নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে একাধিক হাসির ইমোটিকন দেন অপু। ক্যাপশনে লিখেছেন, “কী যে মজা, মজা।”
এ নিয়ে যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ান দুই নায়িকা। শাকিব খানও চুপ ছিলেন বিষয়টি নিয়ে। অবশেষে শাকিব খান জানালেন তিনি বুবলীকে কোনো হীরার নাকফুল উপহার দেননি।
একটি জাতীয় দৈনিককে শাকিব খান বলেন, ডায়মন্ডের নাকফুল তিনি (বুবলী) উপহার পেতেই পারেন। ১টা কেন, ১০টাও পেতে পারেন। তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবেরা আছেন। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে একটা কথা বলতে চাই, কোনো ধরনের ডায়মন্ড নাকফুল আমি তাকে উপহার দিইনি।
তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। উপহার দেওয়া কিংবা উইশ করা- কোনোটাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। সন্তানের প্রয়োজনে সে আমাকে বা আমি তাকে লিখলেও তা শুধু শেহজাদকে কেন্দ্র করে যতটুকু দরকার, ততটুকুই হয়, এর বাইরে আর কোনো কিছুর প্রশ্নই আসে না।
প্রসঙ্গত, শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছিলো ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল। তবে তারা দুজনেই খবরটি গোপন রাখেন। ২০১৭ সালের শেষ দিকে পুত্র আব্রাম খান জয়কে কোলে নিয়ে একটি টেলিভিশন লাইভে হাজির হন অপু। প্রকাশ্যে আনেন তার ও শাকিবের বিয়ে, দাম্পত্য ও সন্তান গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য। এই ঘটনার কয়েক মাস পরই অপুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন শাকিব।
একই ঘটনা ঘটে বুবলীর ক্ষেত্রেও। শাকিবের সঙ্গে গোপনে তার বিয়ে হয় ২০১৮ সালের ২০ জুলাই। এরপর ২০২০ সালের ২১ মার্চ তিনি শাকিবপুত্রের মা হন, যার নাম রেখেছেন শেহজাদ খান বীর। ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন বুবলী, তাকে অনুসরণ করে একই ছবি-পোস্ট শেয়ার দেন শাকিবও।
তবে ঘোষণার ঠিক দুদিন পর ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ ছবির গানের শুটিংয়ে দেখা যায়, তাঁরা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেননি। এমনকি দুজনের বিশ্রামের জন্য পাঁচতারা সেই হোটেলে ছিল আলাদা দুটি কক্ষ।
এরপর থেকে গুঞ্জন রটে, শাকিব–বুবলী কি আদৌ একসঙ্গে আছেন, নাকি সম্পর্ক ঘোষণার আগেই শেষ হয়ে গেছে। শাকিব গণমাধ্যমে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে ইঙ্গিত দেন, তাঁদের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।
তবে বুবলী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁদের সম্পর্ক আছে। দুজনের এমন কথায় শাকিব খানের ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দোটানায় পড়েন। অবশেষে কিং খান আবারও জানিয়ে দিলেন বুবলীর সঙ্গে তার এখন কোনো যোগাযোগই নেই।